ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল আযহায় করণীয় ও বর্জনীয় ২০২৩

ঈদুল আযহা ইসলামী ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি হলো ঈদুল আযহা। প্রিয় পাঠক আজকে ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হয় এবং ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত সম্পর্কে আজকের পোস্ট জুড়ে আলোচনা করা হবে। তার আগে অবশ্যই আমাদের জানতে হবে ঈদুল আযহা কি?
ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল আযহায় করণীয় ও বর্জনীয় ২০২৩

ঈদ উল আযহা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব দুটির একটি হল ঈদুল আযহা। এই উৎসবটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদ উল আযহা মূলত আরবি বাক্যাংশ। ঈদুল আযহার অর্থ হল ত্যাগের উৎসব। আর এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ত্যাগ করা। আর তাই আমরা অনেকেই ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত জানি না আছে সে সম্পর্কে জানানো হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল আযহায় করণীয় ও বর্জনীয় ২০২৩

ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করার নিয়ম

ঈদুল আযহা মুসলমান জাতির প্রধান উৎসবের একটি। কিন্তু আমরা অনেকেই এই উৎসবটি আনন্দের সহিত পালন করে থাকে। আর এই জন্য এই উৎসব পালনের প্রধান কাজ হল ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করা। আর তাই আজকে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

ঈদুল আযহার নামাজ নিয়ত করার সময় আপনাকে এভাবে করতে হবে-আমি ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবীরের সহিত এই ইমামের পিছনে কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে আদায় করছি, এই নিয়ত মনে মনে স্থির করা বা মুখে বলতে হবে। এরপরে তাকবীরে তাহরীমা আল্লাহু আকবার বলে হাত বাধা এবং ছানা পাঠ করতে হবে। ছানা পাঠ করার পর ইমাম অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দিবেন।

আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজের হুকুম - তারাবির নামাজের ফজিলত ২০২৩

এরপর এই তিন তাকবীরের সময় ইমাম ও মুক্তাদী উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠাতে হবে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীরে হাত কান পর্যন্ত উঠানোর পর নিচে ছেড়ে দিতে হবে। তৃতীয় তাকবীরের সময় কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে না দিয়ে হাত বাঁধতে হবে। ভুল করে থাকি তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং মনোযোগ দিয়ে ঈদুল আযহার ওয়াজিব নামাজ পড়তে হবে। এরপর ইমাম সূরা ফাতিহা ও কেরাত শেষ করে যথারীতি রুকু সিজদা করার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করে পুনরায় দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাকাতের কেরাত শেষ করবেন।

এরপর রুকুতে যাবার আগে আবার অতিরিক্ত তিন তাকবীর ইমাম দেবেন। এবং তাকবীরের সময় কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে তাকবীর বলে হাত ছেড়ে দিতে হবে। এরপরে চতুর্থ তাকবীর যথা রুকুর তাকবীর বলে সোজা রুকুতে চলে যেতে হবে। এরপর পূর্বের নিয়মে যথারীতি রুকু সেজদা শেষ করে সালাম ফেরাতে হবে। এরপরে ইমাম সাহেব মেম্বারে দাঁড়িয়ে দুটি খুতবা পাঠ করবেন। তাহলে আমরা ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের নিয়ম সম্পূর্ণ নিখুঁতভাবে জানতে পারলাম। এবার আমরা ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জানব।

ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত

نَوَيْتُ أنْ أصَلِّي للهِ تَعَالىَ رَكْعَتَيْنِ صَلَاةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتِّ التَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالَى اِقْتَضَيْتُ بِهَذَا الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ

বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতুআন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকআতাই ছালাতিল ঈদিল আযহা মাআ ছিত্তাতি তাকবিরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার

বাংলা নিয়তঃ আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে ছয় তাকবীর সহিত ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ পড়িতেছি আল্লাহু আকবার। তাহলে এখন আমরা ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত কিভাবে আরবি এবং বাংলায় করতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে পারলাম।

ঈদুল আযহায় করণীয় / ঈদুল আযহায় করণীয় ও বর্জনীয়

ঈদের সালাতের আগে প্রত্যেক মুসলমানের গোসল করা সুন্নাত। ঈদের দিন সকালে নতুন পোশাক পরিধান করাও সুন্নাত, একই সাথে সুগন্ধি ব্যবহার করা ও সুন্নত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ঈদের দিনে সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। আর সেই জন্য আমাদের উচিত ঈদের দিনে পোশাক পরিধানের পর পোশাকের সুগন্ধি ব্যবহার করা। এখন আমরা জানব ঈদুল আযহায় করণীয় গুলো কি কি?

ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদের দিন ঈদের নামাজের আগে কিছু না খাওয়াই মুস্তাহাব। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালাম ঈদুল আযহার দিন কিছুই খেতেন না যে পর্যন্ত ঈদের সালাত আদায় করছেন।

ঈদগাহ এক পথ দিয়ে যাওয়া এবং অন্য পথ দিয়ে ফেরার সুন্নত।(বুখারী, হাদিস নংঃ ৯৮৬) সম্ভব হলে ঈদগায়ে হেঁটে যাওয়া সুন্নত।

ঈদের দিন তাকবীর পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ তালাকে বেশি বেশি স্মরণ করাও সুন্নত। পুরুষরা এই তাকবীর উচ্চ আওয়াজে পাঠ করবে এবং মেয়েরা করবে নিরবে। এই তাকবির জিলহজ মাসের নয় থেকে 13 তারিখ পর্যন্ত পাঠ করতে হবে। ঈদের নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। ঈদের নামাজ সব নফল নামাজের মধ্যে ফজিলতপূর্ন। আর এই জন্যই ঈদের নামাজের আগে ও ফজরের নামাজের পরে কোন নামাজ নেই। ঈদের নামাজের কোন আজান বা ইকামত হয় না।

ঈদের দিনে ছোট-বড় সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা সুন্নত। ঈদুল আযহার দিনে সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। আর এইজন্য কোরবানির গোশত নিজে খাবে নিজের পরিবার বর্গকে খাওয়াবে আত্মীয়-স্বজনকে হাদিয়া তোফা দেবে এবং গরিব মিসকিনদের দান করা ইসলামের বিধান। তাহলে আমরা ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত এর পাশাপাশি ঈদুল আযহার করণীয় সম্পর্কে জানতে পারলাম।

এছাড়াও ঈদুল আযহায় করণীয় হিসেবে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে পশুর রক্ত, আবর্জনা ও হাড় থেকে যেন পরিবেশ দূষিত না হয় সেই দিকে প্রত্যেক মুসলমানদের সদা সতর্ক থাকা উচিত। কোরবানির শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্ত আবর্জনা ও হাড় নিরাপদ দূরীদের নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দেওয়া বা পুতে রাখা উত্তম। এবার আমরা জানব ঈদুল আযহায় বর্জনীয় কি কি?

ঈদুল আযহায় বর্জনীয় / ঈদুল আযহায় করণীয় ও বর্জনীয়

ঈদুল আযহায় বর্জনীয় হিসেবে ঈদের দিনে রোজা রাখা হারাম। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। কবর জিয়ারতের বিশেষ দিন মনে করে কবর জিয়ারত করা ও বিদআত।

ঈদুল আযহা বর্জনীয় হিসাবে আরো কিছু নিয়ম আছে তা হলঃ অনেকেই ঈদের আনন্দে মশগুল হয়ে নতুন জামা কাপড় পরিধান, সেমাই, ফিন্নি জর্দা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে যেয়ে ঈদের নামাজ পড়তেই ভুলে যায়। অথচ এই দিনে ঈদের সালাত ও কোরবানি করাই হচ্ছে মুসলমানদের জন্য প্রধান এবং মূল কাজ।

কোরবানির গোস্ত, চামড়া ও এর কোন অংশ বিক্রি করা যাবে না। অর্থাৎ বিক্রি করে নিজে উপকৃত হওয়া যাবে না এমনকি কসাইকে পারিশ্রমিক স্বরূপ গোস্ত দেওয়া যাবে না। কিন্তু কেউ চাইলে সাধারণভাবে তাকে খেতে দেওয়াতে অসুবিধে নেই বা কোন বাধা নেই। এছাড়াও ঈদের দিন উপলক্ষে যেখানে গান বাজনা অবাধে নারী-পুরুষ বিতরণ ইত্যাদির আয়োজন থাকে এমন মেলা আয়োজন করা অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা দেওয়া সম্পূর্ণ ইসলামে হারাম।

ঈদুল আযহার তাৎপর্য ও শিক্ষা

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম জাতির জন্য সৌভাগ্য স্বরূপ বছরে দুইটি ঈদ দিয়েছেন। আর তার একটি হল ঈদুল ফিতর আরেকটি হল ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহার তাৎপর্য ও শিক্ষা অনেক বেশি। আমরা জানি ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে উৎসব যেটা বারবার ফিরে আসে। আর তাই আযহা শব্দটির অর্থ ত্যাগ ও উৎসর্গ বা কোরবানির পশু জবাই করা ইত্যাদি। উল্লেখিত শব্দ এবং অর্থগুলো থেকে এ কথা স্পষ্ট যে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনে যে চেষ্টা করা হয় তাকে ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ বলে।

প্রচলিত অর্থে বলতে গেলে কুরবানী হলো পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট ব্যক্তির পক্ষ থেকে প্রশ্ন জবাই করা। মহান রাব্বুল আলামিন তিনি বলেছেন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি।

সূরা কাওসার এ বলেছেন, সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কোরবানি কর অনুরূপভাবে এরশাদ করেছেন কোরবানির দিনে মানব সন্তানের কোন নেক আমলই আল্লাহতালা নিকট এত প্রিয় নয় যত প্রিয় কোরবানির করা। আর কোরবানির পশুর সিং, পশম, খুর কিয়ামতের দিন মানুষের নেক আমলনামায় এনে দেওয়া হবে। কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই তা আল্লাহর নিকট পৌঁছে যায়। আর তাই তোমরা আনন্দচিত্তে কোরবানি করো।(তিরজীমী)

আমরা বর্তমানে যে কুরবানী করে থাকি তা মুসলিম জাতির জনক ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত হিসেবেই পালন করি। তিনি আল্লাহর নির্দেশ পালন করতে নিজের সর্ব প্রিয় পুত্রকে কোরবানি করার লক্ষ্য স্থির হয় এবং ত্যাগের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস সৃষ্টি করেন। আর এই বিষয়টি এতই গ্রহণযোগ্য হয়েছে যে আমাদের ওপর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে কোরবানির নির্দেশনা ত্যাগ তিতিক্ষার সেই উদাহরণকে কিয়ামত পর্যন্ত শিক্ষনি হিসেবে জীবন্ত করে রেখে গেছেন। তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি দেওয়ার জন্য স্থির হন। এরপর তিনি দশটি উট কোরবানি করেন আবারও একই স্বপ্ন দেখেন এবার তিনি ১০০টি উট কোরবানি করলেন।

তৃতীয়বার যখন একই স্বপ্ন দেখলেন তখন তিনি বুঝতে পারলেন আমার কাছে প্রিয় বস্তুর টুকরা হযরত ইসমাইল আলাই সালাম ছাড়া আর কিছুই নেই। আর তখন ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম তার পুত্র ইসমাইল আঃকে তার স্বপ্নের কথা বললেন তখন তার সন্তান উপযুক্ত জবাব দিলেন এবং তিনি বললেন যে বিষয়ে আল্লাহর তরফ থেকে আদিষ্ট হয়েছেন তা পূর্ণ করুন। তখন হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মা হাজেরা কোরবানির জন্য কলিজার টুকরা পুত্রকে সাজিয়ে নিলেন। আল্লাহর প্রেমিক হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম এর ধারালো হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের ঈমানী শক্তির কারণে একটি পশম ও কাটতে পারেনি তার পরিবর্তে আল্লাহর হুকুমে জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেহস্ত থেকে জান্নাতি দুম্বা এনে ইসমাইল আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্থলে রাখলে তা কোরবানি হয়ে যায়।

ঈদুল আজহার তাৎপর্য ও শিক্ষা কেমন তা আমরা ইতিমধ্যে জানতে পারলাম। এছাড়া কোরবানির পশু নিজের হাতে জবাই করা মুস্তাহাব বা সর্বোত্তম। যদি নিজে জবাই করতে না পারেন তবে অন্যের দ্বারা জবাই করবে কিন্তু নিজে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভালো। এছাড়া যদি কোরবানীতে তা মেয়ে লোক হয় তাহলে পর্দার ব্যাঘাত হয় বলে যদি সামনে উপস্থিত না থাকতে পারে তবে তাতে কোন ক্ষতি হবে না।

ঈদুল আযহা ও কোরবানির তাৎপর্য

আমরা ইতিমধ্যেই ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত, ঈদুল আযহার করণীয়, ঈদুল আযহার বর্জনীয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এবার আমরা ঈদুল আযহা ও কোরবানির তাৎপর্য সম্পর্কে জানব-

আল্লাহ তাআলার আদেশেই হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লামের পুত্র হযরত ইসমাইল আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করতে উদ্যত হন। তার সেই ইচ্ছা ও ত্যাগের কারণে বিশ্বের মুসলমানরা আল্লাহর কাছে নিজেদের সম্পর্ক করার লক্ষ্যে ঈদুল আযহার দিন পশু কোরবানি করে। আরবি জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আযহা পালিত হয়ে থাকে।

মানব ইতিহাসের সর্বপ্রথম কোরবানি হযরত আদম আলাই সালাম এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিলের মধ্যে সংঘটিত হয়। কোরবানির ইতিহাস ততটাই প্রাচীন যতটা প্রাচীন মানব অথবা ধর্মের ইতিহাস। কোরবানির বিধান হযরত আদম আলাই সালাম এর পর থেকে আল্লাহর প্রদত্ত সব শরীয়তেই কার্যকর হয়েছিল।

কোরবানি হলো চিত্তশুদ্ধি এবং পবিত্রতার মাধ্যম। এটি সামাজিক রীতি হলেও আল্লাহর জন্য এর ইতি প্রবর্তিত হয়েছিল। কোরবানির পশুর রক্ত মাটি স্পর্শ করার আগে আল্লাহর কাছে তার সওয়াব লিখা হয়ে যায়। কোরবানি করা কেবল পশু কোরবানি করায় নয়। এটা নিজের ভেতরের পশুত্ব, নিজের ক্ষুদ্রতা, নিচতা, স্বার্থপরতা, অহংকারীতা, দীনতা, ইত্যাদি ত্যাগের কোরবানি।

আর এই জন্য মহান আল্লাহর দরবারে আর্থ সমাপনকারী ও আত্মত্যাগী হতে হবে। তাকওয়া ও আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যমে প্রকৃত মুমিন বান্দা ও আল্লাহভীরু মুসলমান হতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url