হযরত দাউদ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনী সম্পর্কে জানুন

প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের মাঝে হযরত দাউদ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করব। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে, এই পৃথিবীতে বিপুল শক্তি ও রাষ্ট্রক্ষমতার অধিকারী নবী ছিলেন মাত্র দুইজন। আর তারা হলেন পিতা ও পুত্র দাউদ ও সুলাইমান আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

হযরত দাউদ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনী সম্পর্কে জানুন

বর্তমান ফিলিস্তিন সহ সমগ্র ইরাক ও সাম  (সিরিয়া) এলাকায় তাদের রাজত্ব ছিল। পৃথিবীর অতুলনীয় ক্ষমতার অধিকারী হয়েও তাদের ছিলেন সর্বদা আল্লাহর প্রতি অনুগত ও সর্বদা কৃতজ্ঞ। সে কারণে আল্লাহ তা'আলা তাঁর শেষ নবীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন-তারা যেসব কথা বলে তাতে তুমি সবর করো এবং আমার শক্তিশালী বান্দা দাউদকে স্মরণ করো।

সে ছিল আমার প্রতি সদা প্রত্যাবর্তনশীল। দাউদ হলেন আল্লাহর একমাত্র বান্দা, যাকে খুশি হয়ে পিতা আদম স্বিয় বয়স থেকে 40 বছর কেটে তাকে দান করেছিলেন এবং আল্লাহর নিকটে সুপারিশ করেছিলেন আর তাই দাউদের বয়স 100 বছর হয়েছিল।

হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম সম্পর্কে কুরআনের নয়টি সূরায় ২৩ টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে তিনি ছিলেন শেষ নবী সাঃ এর আগমনের প্রায় দেড় হাজার বছরের পূর্বেকার নবী। দাউদ কেবল রাষ্ট্র ক্ষমতা হাতে পেয়ে শক্তিশালী হয়েছিলেন না বরং তিনি জন্মগতভাবেই ছিলেন দৈহিকভাবে শক্তিশালী এবং একই সাথে ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান। চলুন হযরত দাউদ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনী নিম্নোক্ত নিচে দেখে নিই।

আরো পড়ুনঃ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানুন

সাগরডুবি থেকে নাজাত পেয়ে মুসা ও হারুন আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বনু ইসরাইলদের নিয়ে শামে এলেন, এবং শান্তিতে বসবাস করতে থাকলেন তখন আল্লাহ তাদেরকে তাদের ফিলিস্তিনে ফিরে যাওয়ার আদেশ দিলেন এবং ফিলিস্তিন দখলকারী শক্তিশালী আমালেক্বাদের সঙ্গে জিহাদের নির্দেশ দিলেন। সাথে সাথে এ ওয়াদা  দিলেন যে, জেহাদে নামলেই তোমাদের বিজয় দান করা হবে। কিন্তু এই ভীতু ও জিহাদ বিলাসী জাতি তাদের নবী মুসাকে পরিষ্কার বলে দিলেন যে, তুমি ও তোমার রব দিয়ে যুদ্ধ কর, আমরা এখানে বসে রইলাম এত বড় বেয়াদবের পরে মুসা আলাই সালাম তাদের ব্যাপারে নিরাশ হলেন। এবং কিছুদিনের মধ্যেই দুই ভাই পরপর তিন বছরের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করলেন।

জিহাদের আদেশ অমান্য করার শাস্তি স্বরূপ মিশর ও সামের মধ্যবর্তী তীহ প্রান্তরে ৪০ বছর যাবত উন্মুক্ত কারাগারে অতিবাহিত করার পর মুসার শীর্ষ ও ভাগিনা এবং পরবর্তীতে নবী ইউশা বিন নুনের নেতৃত্বে জিহাদ সংঘটিত হয় এবং আমালেক্বাদের হটিয়ে তারা ফিলিস্তিন দখল করে। এদিকে কিছুদিনের মধ্যে তারা পুনরাই বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দেয় এবং নানাবিধ আচরণে লিপ্ত হয়ে থাকে। তখন আল্লাহ তাদের ওপরে পুনরায় আমালেক্বাদের চাপিয়ে দেন। বনী ইসরাইলরা আবার নিগৃহীত হতে শুরু করে। এভাবে বহুদিন কেটে যায় একসময় স্যামুয়েল নবীর যুগ আসে। লোকেরা বলে আপনি আমাদের জন্য একজন সেনাপতির দানের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করুন যাতে আমরা আমাদের পূর্বের ঐতিহ্য ফিরে পায় এবং বর্তমান দুর্দশা থেকে মুক্তি পাই এই ঘটনায় আল্লাহ তায়ালা তার শেষ নবীকে শুনিয়েছেন। আর তা হলঃ

তুমি কি মুসার পরে বনু ইসরাইলদের একদল নেতাকে দেখনি, যখন তারা তাদের নবীকে বলেছিল আমাদের জন্য একজন শাসক প্রেরণ করুন যাতে আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি। নবী বললেন তোমাদের প্রতি কি এমন ধারণা করা যায় যে, লড়াই এর নির্দেশ দিলে তোমরা লড়াই করবে? তারা বলল আমাদের কি হয়েছে যে আমরা আল্লাহর পথে লড়াই করব না? অথচ আমরা বিতাড়িত হয়েছি নিজেদের ঘরবাড়ি ও সন্তান-সন্ততি হতে, অতঃপর জঘন্য লড়াইয়ের নির্দেশ হলো তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া বাকিরা সবাই ফিরে গেল। আল্লাহ জালিমদের ভালো করেই জানেন। ঘটনাটির নিম্নরূপ নিচে দেওয়া হলোঃ

তাদের নবী তাদের বললেন নিশ্চয়ই আল্লাহর তালুতকে তোমাদের জন্য শাসক নিযুক্ত করেছেন। তারা বলল সেটা কেমন করে হয় যে তার শাসক চলবে আমাদের উপরে। অথছ আমরাই শাসন ক্ষমতা পাওয়ার অধিক হকদার, তাছাড়া আজ সে ধনসম্পদ এর দিক দিয়েও সচ্ছল নয়। জবাবে নবী সাল্লাহু সাল্লাম বলেছিলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ওপরে তাকে মনোনীত করেছেন এবং স্বাস্থ্য ও জ্ঞানের দিক দিয়ে তাকে প্রাচুর্য দান করেছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দান করেন, তিনি হলেন পাচুর্য দানকারী ও সর্বজ্ঞ। নবী তাদেরকে বললেন তালুতের নেতৃত্বে নির্দেশন এই যে তোমাদের কাছে সিন্দুকটি আসবে তোমাদের প্রভুর পক্ষ হতে তোমাদের হৃদয়ের প্রশান্তি রূপে। আর তাতে থাকবে মুসা, হারুন ও তাদের পরিবার বর্গের ব্যবহৃত কিছু পরিত্যাক্ত সামগ্রী। সিন্দুকটিকে বহন করে আনবে ফেরেশতাগণ। এটাই তোমাদের জন্য নিশ্চিত নিদর্শন রয়েছে যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।

আর এই বিষয়টি এই যে, বনু ইসরাইলগণের নিকটে একটা সিন্দুক ছিল। যার মধ্যে তাদের নবী মুসা, হারুন ও তাদের পরিবারের ব্যবহৃত কিছু পরিত্যাক্ত সামগ্রী ছিল। তারা এটাকে খুবই বরকত ময় মনে করতো এবং যুদ্ধকালে একে সম্মুখে রাখতো। একবার আমালেক্বাদের সাথে যুদ্ধের সময় বনু ইসরাইলগণ পরাজিত হলে আমালেক্বাদের বাদশাহো জালুত উক্ত সিন্দুকটি নিয়ে যায়। আর যখন বনু ইসরাইলগণ পুনরায় জিহাদের সংকল্প করল তখন আল্লাহ তাদেরকেও উক্ত সিন্দুক ফিরিয়ে দিতে মনস্ত করলেন। এরপর এই সিন্দুকটির মাধ্যমে তাদের মধ্যকার নেতৃত্ব নিয়ে ঝগড়ার নিরসন হয়ে যায়। সিন্দুকটি তালুতের বাড়িতে আগমনের ঘটনা এই যে জালুতের নির্দেশে কাফেররা যেখানে সিন্দুকটি রাখে সেখানেই দেখা দেয় মহামারী ও অন্যান্য বিপদ-আপদ। এমনিভাবে তাদের পাঁচটি শহর ধ্বংস হয়ে যায়। অবশেষে অতিষ্ঠ হয়ে তারা একে তার প্রকৃত মালিকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল এবং গরুর গাড়িতে উঠিয়ে দিল।

আরো পড়ুনঃ নামাজের বিবরণ - পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ঐতিহাসিক পটভূমি

তখন ফেরেশতাগণ আল্লাহর নির্দেশ মতো গরুর গাড়িটিকে তাড়িয়ে এনে তালুতের ঘরের সম্মুখে রেখে দিল। বনু ইসরাইলগণ এই দৃশ্য দেখে সবাই এক বাক্যে তালুতের নেতৃত্বের প্রতি অনুব্রত প্রদর্শন করল এবং তালত আমালেক্বাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা প্রস্তুতি শুরু করলেন। সকল সম্পত্তি সম্পন্ন হলে তিনি কথিত মতে 80000 হাজার সেনা দল নিয়ে রওনা হন। ইবনু কাসীর এর সংখ্যায় সন্দেহ প্রসারণ করে বললেন ক্ষুদ্রায়তন ফিলিস্তিন ভূমিতে এই বিশাল সেনাদলের সংকুলান হওয়াটা অসম্ভব ব্যাপার। অল্পবয়স্ক তরুণ দাউদ ছিলেন উক্ত সেনাদলের সদস্য পথিমধ্যে সেনাপতি তালুক তাদের পরীক্ষা করতে চাইলেন সম্মুখীন ছিল এক নদী। মৌসুম ছিল প্রচন্ড গরমের আর তাই পিপাসাই ছিল সবাই কাতর আর এই বিষয়টি পবিত্র কুরআনে বর্ণনা করেছেন এরূপভাবে যে

অতঃপর তালুক যখন সৈন্যদল নিয়ে বের হলো তখন সে বলল নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে পরীক্ষা করবেন একটি নদীর মাধ্যমে। যে ব্যক্তি ওই নদী হতে পানি পান করবে সে ব্যক্তি আমার দলভুক্ত হবে না। আর যে ব্যক্তি ওই নদীর পানির স্বাদ গ্রহণ করবে না সেই হবে আমার দলভুক্ত। অতঃপর সবাই সে পানি পান করল সামান্য কয়েকজন ছাড়া। এবং তার সঙ্গে ছিল মাত্র কয়েকজন ঈমানদার ব্যক্তি লোকেরা বলতে লাগলো আজকের দিনে জালুত ও তার সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার মত শক্তি আমাদের নেই। পক্ষান্তরে যাদের বিশ্বাস ছিল যে আল্লাহর সম্মুখে তাদের একদিন উপস্থিত হতেই হবে তারা বলল কত ছোট ছোট দল বিজয়ী হয়েছে বড় বড় দলের বিরুদ্ধে আল্লাহর হুকুমে। নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলদের সাথে আল্লাহ থাকেন (বাকারাহ ২/২৪৯)

নদী পার হওয়ার পর এই স্বল্প সংখ্যক ঈমানদারগণের সংখ্যা ছিল মাত্র 313 জন যা শেষ নবীর সাথে কাফেরদের বদর যুদ্ধকালে যুদ্ধরত সাহাবীগণের সংখ্যার সাথে মিলে যায়। পানি পানকারী হাজার ও সৈনিক নদীর পাড়ে আলস্য ঘুমিয়ে পড়ে। অথচ পানি পান করা থেকে বিরত থাকা স্বল্পসংখ্যক ঈমানদার সাথে নিয়ে চললেন সেকালের সেরা সেনাপতি ও শোর্য-বীর্যর প্রতীক আমালেক্বাদের বাদশাহো জালুতের বিরুদ্ধে। বস্তুতো বাদিগনের হিসাব মতে এটা ছিল নিতান্তই আত্মহণের শামিল। আর এই দলেই ছিলেন দাউদ আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আল্লাহ বলেন-

আর যখন তারা জালুত ও তার সেনাবাহিনীর সম্মুখীন হল তখন তারা বলল হে আমাদের পালনকর্তা আমাদের ধৈর্য দান কর ও আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখো এবং আমাদেরকে তুমি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাহায্য কর।

এদিকে জালোত বিরাট সাজসজ্জা করে হাতিতে সওয়ার হয়ে সামনে এসে আসফালন করতে লাগলো এবং সে যুগের যুদ্ধ রীতি অনুযায়ী প্রতিপক্ষের সেরা যোদ্ধাকে আহবান করতে থাকলো। অল্পবয়স্ক বালক দাউদ নিজেকে সেনাপতি তালুকের সামনে পেশ করলেন। না কিন্তু দাউদ নাছর বান্দা। উৎসাহিত করলেন এবং আল্লাহর নামে জালুতের মোকাবেলায় প্রেরণ করলেন। বর্ণিত আছে যে তিনি এ ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন যে যে ব্যক্তি জালুতকে বধ করে ফিলিস্তিন পুনরুদ্ধার করতে পারবে তাকে রাজ্য পরিচালনার শরিক করা হবে।

আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজের হুকুম - তারাবির নামাজের ফজিলত ২০২৩

অস্ত্রশস্ত্রে ষড়েষিতকে মারা খুবই কঠিন ছিল কারণ তার সারা দেহ ছিল লৌহ বর্ণে আচ্ছাদিত। তাই তরবারি বা বললাম দিয়ে তাকে মারা অসম্ভব ছিল আল্লাহর ইচ্ছায় দাউদ ছিলেন পাথর ছোরাই ওস্তাদ। আর তিনি সমবয়সীদের সাথে মাঠে গিয়ে নিশানা বরাবর পাথর মারায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন অনেক আগেই। আর এই জন্য দাউদ পকেট থেকে পাথর খন্ড বের করে হাতির পিঠে বসা জালুতের চক্ষু বরাবর নিশানা করে এমন জোরে মারলেন যে তাতেই জালুতের চোখ শুদ্ধ মাথা ফেটে মগজ বেরিয়ে চলে গেল এমন ভাবে জালুট মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন তার সৈনিকেরা পালিয়ে গেল যুদ্ধে তালুত বিজয় লাভ করলেন। যেমন আল্লাহ বলেন

অতঃপর তারা আল্লাহর হুকুমে তাদেরকে পরাজিত করল এবং দাউদ জালুতকে হত্যা করলো আর আল্লাহ দাউদকে দান করলেন রাজ্য ও দূরদর্শিতা এবং তাকে শিক্ষাদান করলেন তিনি যা চাইলেন। আল্লাহ যদি এমন ভাবে একজনকে অপরজনের দ্বারা প্রতিহত না করতেন তাহলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেত। বিশ্ববাসীর প্রতি একান্তই দয়াশীল।

শিক্ষণীয় বিষয়

১. নেতৃত্বের জন্য সর্বাধিক প্রয়োজন হল জ্ঞান ও দৈহিক স্বাস্থ্যজাত তালুতের মধ্যে ছিল

২. নেতৃত্বের জন্য বংশ ও অর্থ সম্পদের চাইতে বড় প্রয়োজন ঈমান ও আল্লাহর উপরে নির্ভরশীলতা

৩. চিরকাল সংখ্যালঘু ঈমানদারগণ সংখ্যাগুলো অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে থাকে যা তালুত ও জালুতের ঘটনায় প্রমাণিত।

৪. অস্ত্র বল ও জনবলের চাইতে ঈমানী বল যে কোন বিজয়ের মূল শক্তি।

তালুত আমালেক্বাদের দখলদালদের ঘটিয়ে শামের শাসনকর্তা পদ লাভ করেন। এরপর দাউদ কতদিন পরে নবী হন এবং তালুদের পরে কখন তিনি শাসন ক্ষমতায় আসেন এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাযায় নি। তবে অন্যান্য নবীদের ন্যায় তিনি 40 বছর বয়সে নবুওয়াত লাভ করেন বলে আমরা ধরে নিতে পারি। তিনি তিনি শতায়ু ব্যাক্তি ছিলেন। এবং তার পুত্র সন্তানের সংখ্যা ছিল 19 জন। সুলায়মান আলাইহিস সালাম নবুওয়াত ও শাসন ক্ষমতা উভয় দিক দিয়ে পিতার স্থলাভিষিত্ত ছিলেন। আল্লাহ পিতা ও পুত্রকে অন্যান্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করে সৃষ্টি করেছিলেন আমরা কোরআন থেকে যা প্রাপ্ত হয়েছি সেইটুকু পেশ করব সত্যের সন্ধানী পাঠকের জন্য।

আমাদের মনে রাখা অবশ্যক কুরআন কোনো গল্পগ্রন্থ নয় কারণ এটি মানুষের হেদায়েতের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই মাত্র সেখানে পাওয়া যায়। বাকি তথ্য বলির উৎস হলো ইসরাইলই বর্ণনা সমূহ যার কোন নির্ভরযোগ্য ভিত্তি নেই। বরং সেখানে অন্যান্য নবীগণের ন্যায় দাউদ ও সোলাইমানের চরিত্র কে মসিলিপ্ত করা হয়েছে। আর সেইসব নোংরা কাহিনীকে ভিত্তি করে আরবি, উর্দু, ফারসি এমনকি বাংলা ভাষা ও লিখিত হয়েছে বাজে বই পত্রিকা। নোংরা গল্প গুজবে ভরা তথাকথিত ধর্মীয় বই আগুনে পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া উচিত। তাতে নিজের ও পরিবারের এবং অন্যদের ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বেঁচে যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url