মহরম কবে ২০২৩ - মহরম কেন পালন করা হয়

মহরম কবে ২০২৩ সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। মহররম কবে ২০২৩ বার সেই বিষয় নিয়ে আজকের এই পোস্ট জুড়ে আলোচনা করা হবে। প্রতিবছর মহরম পালিত হয় অনেকেই এই মহরমের ইতিহাস জানিনা। তাই নতুন করে মহরম কবে ২০২৩ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই দেরি না করে আজকে আমরা মহরম কবে ২০২৩ সেই সম্পর্কে জানব।

মহরম কবে ২০২৩ - মহরম কেন পালন করা হয় জেনে নিন

মহরম হলো ইসলামী বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস। ইসলামে চারটি পবিত্রতম মাসের একটি হলো মহররম মাস। আর তাই আজকে মহরম কবে ২০২৩ এবং ২০২৩ এ মহরম কি বার তার বিস্তারিত আজকের পোস্ট জুড়ে আলোচনা করব।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মহরম কবে ২০২৩ - মহরম কেন পালন করা হয় জেনে নিন

মহরম কি / মহরম কবে ২০২৩

মহরম শব্দটি হল আরবী, আর এর অর্থ হল পবিত্র ও সম্মানিত করা। প্রাচীনকাল থেকে মহরম মাসটি পবিত্রতম মাস হিসেবে পরিলক্ষিত। মহরমের ১০ তারিখ বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন দিন যাকে বাংলা ভাষায় আশুরা বলা হয়ে থাকে। আর এই দিনটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হিসেবে বিবেচিত। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম মহরম কি।

কুরআনে সূরা তওবার ৩৬ নং আয়াতে বর্ণিত যে চারটি মাসে যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে মহরম মাস হল অন্যতম মাস। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মহররম মাসকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। এবং তিনি বলেছেন রমজানের পরে সর্বোত্তম সাওম হল মহরম মাসের সাওম এবং ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হল তাহাজ্জুতের সালাত আদায় করা।

মহরম কবে ২০২৩ / মহরম কি

মহরম হলো ইসলাম ধর্মের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ইসলামের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী  বছরের প্রথম মাস হল মহরম মাস। আর তাই বিশ্ববাপী মুসলমানরা নবী মুহাম্মদের নাতি এবং হযরত আলীর পুত্র ইমাম হোসেনের শাহাদতকে শোক প্রকাশ করেন এই মহরমের মাসে। আর তাই মহরম কবে ২০২৩ মহরম কি বার সেটি আজকে জানাবো।

আরো পড়ুনঃ সুদ কি - সুদের ভয়াবহতা - সুদ হারাম হওয়ার কারণ জেনে নিন ২০২৩

এ বছরে জুলাইয়ের ১৯ তারিখে পবিত্র মহরম অনুষ্ঠিত হবে। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মহরম কবে ২০২৩ সেটা জুলাই মাসের ১৯ তারিখ বুধবার হবে। একই সাথে জুলাই মাসের ২৮ এবং ২৯ তারিখ শুক্রবার ও শনিবার আশুরা সংঘটিত হবে। তাহলে আমরা মহরম কবে ২০২৩ কি বার কোন দিন তার সবটাই জানতে পারলাম এবার আমরা জানবো মহরম কেন পালন করা হয়।

মহরম কেন পালন করা হয়

ইসলামের বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস এবং পবিত্র মাসগুলির মধ্যে অন্যতম হলো মহররম মাস। এটি ইসলামী বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস। মহররম শব্দটি মূলত আরবি শব্দ যার অর্থ পবিত্র বারসম্মানিত। মহরম কেন পালন করা হয় তা হল প্রথা অনুযায়ী অধিকাংশ সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায় মুসলিম এই মাসে ১০ দিনের উপবাস রাখে। আর তাই অধিকাংশ সিআর মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা ইমাম হোসেন হযরত আলীর মৃত্যুর শোক পালন, অন্যায়, অত্যাচার জুলুম, নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে এই দিনটি উদযাপন করে থাকে। ইসলামের সমস্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনা গুলো এই মহরম মাসেই ঘটেছিল।

মহরম কেন পালন করা হয় তার কারণ হলো এই মাসে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল তার মধ্যে একটি হলো। এই দিনে মহান আল্লাহতালা প্রথম মানব আদি পিতা আদমকে সৃষ্টি করেন। আর এই দিনেই স্বর্গ বা জান্নাতে স্থান দেওয়া হয় এবং পরবর্তীকালে এই দিনেই পৃথিবীতে পাঠিয়ে আল্লাহ তাকে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছিলেন। মহররম কবে ২০২৩ তা আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি। এবং এই মহররম মাসেই ইমাম হুসাইন কারবালার ময়দানে ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে মৃত্যুবরণ করেন।

এছাড়া এই মহররম মাসে ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন এবং এই দিনে মুসা ও তার সাথীরা ফেরাউনের কবল থেকে রক্ষা পায়। এরপরে ফেরানো ও তার সৈন্যদের আল্লাহ তায়ালা একই দিনে নীলনদে পানিতে ডুবিয়ে মারেন। মহরম মাসে এই দিনে হযরত আইয়ুব আলাইহি সাল্লাম কঠিন রোগ থেকে মুক্তি লাভ করে। এছাড়াও হযরত ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম গ্রহন করেছিলেন। এবং একই সাথে হযরত ইউনুস আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসের পেট থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন। এ থেকে বোঝা যায় যে এই মাসটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

মহরমের ফজিলত

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা মহরম কবে ২০২৩ এবং মহরম কি? এবং কেন পালন করা হয় এই সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা মহরমের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। পবিত্র হাদিস থেকে পাওয়া যায় যে মহররম এবং আশুরার দিনে ইবাদত বন্দেগী করা উত্তম।

আরো পড়ুনঃ কোরবানীর ইতিহাস - কোরবানি বিশুদ্ধ হওয়ার শর্ত

আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত যে তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে রমাদান মাসের পর সর্বোত্তম সাওম হল মহরম মাসের সাওম। এবং ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো তাহাজ্জুতের সালাত। এছাড়াও আবু কাতাদাহ আল আনসারী (রা.) হতে বর্ণিত আরাফার দিনে মহররমের সাওম সম্বন্ধে নবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিগত ও আগত এক বছরের গুনাহ, পাপ মুছে যায়।

উপরোক্ত হাদিস থেকে এটাই প্রমাণিত যে রমজানের পর মহররম মাস এবং এই মাসে পালনকৃত সাওমের ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। তার কারণ হলো এই মাসের শাওমের বিনিময়ে আল্লাহ পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিয়ে থাকেন। আর মহররম মাসের ১০ দিন তথা আশুরা হচ্ছে ফজিলতপূর্ণ একটি দিন আর এই দিনে সাওম পালনের কথা হাদিসে এসেছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url