বাতের ব্যথার লক্ষণ - বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়

আমাদের দেশে অনেকেই বাতের ব্যথাতে ভোগেন। আবার অনেকেই আছে যারা বাতের ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে অবগত থাকে না। তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি তাই ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণটা পড়তে হবে। আজকে আমরা দাঁতের ব্যথার লক্ষণ কি এবং কিভাবে এর প্রভাব বিস্তার করে তার সকল দিক নিয়ে এই পোস্টে আলোচনা করা হবে।

বাতের ব্যথার লক্ষণ - বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়

যারা বাতের ব্যথা নিয়ে বসবাস করে তাদের জন্য আজকের পোস্টটি কাজের হতে পারে। কারণ আজকে আমরা বাতের ব্যাথার লক্ষণ এবং বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য আমাদের অবশ্যই জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাতের ব্যথার লক্ষণ - বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়

বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়

বাতের ব্যথা মানুষের নিত্যদিনের জীবনসঙ্গী। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে আপনাকে অবশ্যই জীবনযাত্রার কিছু বাজে অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে বাতের ব্যথা কমানোর সরাসরি কোন চিকিৎসা নেই। আর এই জন্য বাত ব্যথার ওষুধের উপর নির্ভর না করে আমাদেরকে মনোযোগী হতে হবে আমাদের জীবনযাত্রার দিকে। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমনঃ

হালকা ব্যয়ামের মাধ্যমে শরীরে জয়েন্টগুলো উন্নতি সাধন করে। এক্ষেত্রে বাতের ব্যথা দূর হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। বাদের ব্যথা শুরু হলে আপনার স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বিশ্রামের প্রয়োজন হয়ে থাকবে। ঠান্ডা কিংবা গরম পানি দিয়ে ছ্যাক দেওয়া। স্পিন্ট বা ব্রেসের মত কিছু ডিভাইস রয়েছে যা আপনার জয়েন্ট গুলোকে বিশ্রাম রাখতে পারে ফলে এগুলোর সাহায্যে বাতের ব্যথাও কমে যায়। তবে এগুলো ব্যবহার করার সময় আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যেন শরীরের ক্ষতি না হয়।

আরো পড়ুনঃ দাঁত ব্যথা কেন হয় - পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়

এছাড়াও বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে আরো কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। আপনি যদি বিছানায় শোয়াও ওঠার সময় যেকোনো একদিকে কাত হয়ে হাতের ওপর ভর দিয়ে উঠেন বা বসেন সেক্ষেত্রে শরীরের জন্য উপকারী। মেরুদন্ড ও ঘাড় নিচু করে কোন কিছু কাজ করা যাবে না। যে জায়গাতে ব্যথা রয়েছে বা ব্যথা অনুভব করছেন সেই জায়গাতে নির্দিষ্ট সময় পর পর গরম অথবা ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। নরম জাজিম বা সোফাতে শোয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ব্যথা যদি বেড়ে যায় তাহলে ব্যায়াম বন্ধ রাখতে হবে।

বাতের ব্যথার লক্ষণ

আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে বাতের ব্যথার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে বিশেষ করে বাতের ব্যথার লক্ষণগুলো হলঃ লাল ভাব, শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে লালচে ভাব দেখা দেয়, এছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে ফুলে যেতে দেখা যায়। মাংসপেশী শক্ত হয় এবং জয়েন্টের চারপাশে অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে। এছাড়া হঠাৎ করে পায়ের বৃদ্ধা আসলে বা পায়ের গিরার জোড়া আক্রান্ত হয় এবং অত্যাধিক ব্যথা করতে দেখা যায়। অল্প অল্প জ্বর হলো এই রোগের প্রধান লক্ষণ। অনেক সময় ব্যথা কমে যাওয়ার পর আক্রান্ত স্থানে ফুলে যায়। বাতের ব্যথার লক্ষণ মূলত হাটুর জোড়া,, পায়ের গোড়ালি, নখের জোড়া, হাতের কব্জি, কনুই, ইত্যাদি স্থানে অত্যাধিক ব্যথা অনুভব হয়।

কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে

অনেকেই ধারণা করে থাকেন যে বাতের ব্যথা শুধু বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, তবে এ ধারণা প্রকৃতপক্ষে ভুল কেননা এই সমস্যা হতে পারে যে কোন বয়সের মানুষদের মাঝে। আর এজন্য বাততের কারণে প্রচন্ড ব্যথা এবং হাড়ের জয়েন্ট শক্ত হয়ে যেতে পারে। নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিনিয়ত আমরা কোন খাবার খাচ্ছি সেই দিকে নজর দিতে হবে। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে বাতের সমস্যা ক্রমান্বয়ে থাকে। তাই আমরা আজকে জানব কি খেলে দাঁতের ব্যথা বাড়ে। ইতিমধ্যে আমরা বাতির ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা বাত ব্যথা বাড়ার কারণ জানব।

আপনার শরীরে বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য। সেই খাবার হতে পারে ক্যান ফুড, ফাস্ট ফুড, প্যাকেট খাদ্য ইত্যাদি। প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লবণ, চিনি ও ফ্যাট। যেমনঃ

রেডমিট

থেকে যতই মজাদার হোক না কেন বাতের জন্য এটি সমস্যার কারণ এই মাংসে ফ্যাট এবং সেচুরেটেড মাত্রা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে অতিরিক্ত রেডমি খেলে তা প্রদানের মাত্রা বাড়িয়ে থাকে যার ফলে জয়েন্টের ফোলাভাব এবং বাতের সমস্যা আরো বাড়িয়ে তোলে। এরপরে রয়েছে লবণ, আমাদের শরীরের জন্য লবণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ উপাদান তবে এটি বেশি খাওয়ার ফলে শরীরে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ যেসব খাবারে লবণ বেশি থাকে সেই খাবারগুলোতে দাঁতের ব্যথা বাড়িয়ে তুলে। এজন্য বাতের সমস্যা এড়াতে অবশ্যই অত্যাধিক লবণ খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায় - হস্তমৈথুন করলে কি হয় ২০২৩

চিনি যুক্ত পানীয় খাবার আমরা প্রতিনিয়তই খেয়ে থাকি। তবে সব পানিও কিন্তু শরীরের জন্য উপকারী নয়। কোলড্রিংস, ফলের রস, চিনিযুক্ত চা এবং অন্যান্য মিষ্টিযুক্ত পানীয় গুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। আর এই অতিরিক্ত চিনি বাতের ব্যথা বাড়িয়ে তুলে। অতিরিক্ত তেল জাতীয় ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এইসব খাবার বাতের ব্যথার লক্ষণ সৃষ্টি করে এবং বাত ব্যথা বাড়িয়ে তোলে।

বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা

বাতের ব্যথার লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার আগে অবশ্যই কিছু বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে আপনি চাইলে সেগুলো অবলম্বন করতে পারেন। বাতের ব্যথা হলে রোগীকে প্রয়োজন মত বিশ্রাম নিতে হবে। বেশি পরিশ্রমে কাজ কমিয়ে নিতে হবে। হাতে ভারী বস্তু ঝুলিয়ে চলাচল থেকে বিরত থাকতে হবে আক্রান্ত স্থানে প্রতিনিয়ত সরিষার তেল বা পুরাতন গরম ঘি মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে।

ঠান্ডা বা গরম পানি ব্যবহার করে বাতের ব্যথা কমানো যায়। তার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি পাত্রে বরফ দেওয়া ঠান্ডা পানি দিয়ে ব্যথার জায়গায় ঢালতে হবে এবং পরে গরম পানি ঢালতে হবে আর এইভাবে 15 থেকে 20 মিনিট ধরে এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। যতটুকু সম্ভব প্রয়োজনমতো সাঁতার কার্টুন।

বাতের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম

আপনার শরীরে যখনই বাতের ব্যথার লক্ষণ দেখা দিবে তখন আপনি চাইলে ঘরোয়াভাবে এই বাতের ব্যথা হতে মুক্তি পাবেন। আর এর জন্য বাতের ব্যথা কমানোর কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেমন-

পাতলা অথবা নরম তোয়ালে ভাজ করে হাঁটুর নিচে রেখে হাটু দিয়ে তোয়ালের ওপর চাপ দিয়ে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড ধরে রেখে ছেড়ে দিতে হবে। আর এই ব্যায়ামটি প্রতিদিন তিন থেকে চার বার করলে বাতের ব্যথার জন্য খুবই উপকারী।

চেয়ারে বসে পায়ের গোড়ালিতে তিন চার কেজি ওজনের বালুর ব্যাগ বেঁধে সোজা করে ১৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং আবার ভাজ করুন এভাবে কয়েক দিন করতে পারেন।

আবার একইভাবে উপর হয়ে শুয়ে বালুর ব্যাগ পায়ে বেঁধে হাঁটু ভাঁজ করতে পারেন। এবং 10 থেকে 15 সেকেন্ড রেখে আবার ছেড়ে দিন।

এবং 10 থেকে 15 সেকেন্ড রাখার পরে ছেড়ে দিন। আর এইভাবে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করার ফলে বাতের ব্যথা কমানো সম্ভব।

কি খেলে বাতের ব্যথা কমে

আমরা বাতের ব্যথার লক্ষণ অনেকেই বুঝিনা। আর যখন বাতির ব্যথার লক্ষণ প্রকাশ পায় তখন বুঝে ওঠে না যে কি খেলে বাতের ব্যথা দূর হয় আর কোনটা খাওয়া যাবে না। আর তাই আজকে আমরা কি খেলে দাঁতের ব্যথা কমে সে সম্পর্কে জানব-

বাতে ব্যথা কমানোর জন্য গ্রিন টি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে, কারণ চায়ের মধ্যে রয়েছে পলিফেনল এন্টিঅক্সিড্যান্ট যা বাতের ব্যথা ও পেশি বাত কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন, আপেল, কমলা লেবু, আঙ্গুর ফল বেশি পরিমাণে খেতে হবে। ভিটামিন সি হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি ঘটায়। বাদাম, আখরোট, পেস্তা, আমন্ড বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, জিংক, ভিটামিন ই এবং ফাইবার। আর এইসব খাবার বাত ব্যথা কমিয়ে দেয়।

আরো পড়ুনঃ দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর উপায় - সর্দি ও গলা ব্যাথার ঔষধ

বিভিন্ন ধরনের মসলা, আদা, দারচিনি ও রসুন বাত ব্যথা কমানোর প্রধান ঔষধ। পালং শাক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও দুধ, দুগ্ধ জাত খাদ্য ও ছোট মাছ বাত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

বাতের ঔষধের নাম

চিরতরে বাতের ব্যথা দূর হওয়ার কোন নিরাময় নেই, তবে এমন চিকিৎসা আছে যা আপনাকে কঠিন অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে। বাতের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত অনেক ওষুধ রয়েছে-সেইসব ওষুধের মধ্যে সাধারণত ডাক্তাররা যেগুলো দিয়ে থাকেন তা হলঃ

১. অ্যানালজিক্ম

২. ডিক্লোমল

৩.ফ্লামিক ২৫০

৪. ক্লোফেনাক

৫. ন্যাপ্রোক্রেন

৬.ইটরেক্র

৭. ইন্ডোমিথাসিন

৮. রোলাক ১০

৯. অরসেনাক

১০. নাপা এক্রট্রা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url