হযরত মুসা নবীর জীবন কাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন

 প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকে আমি হযরত মুসা নবীর জীবন কাহিনী সম্পর্কে জানাবো। আপনারা অনেকেই হযরত মুসা নবীর জীবন কাহিনী সম্পর্কে জানেন না। যারা হযরত মুসা নবীর জীবন কাহিনী সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি তাই ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে থাকুন।

হযরত মুসা নবীর জীবন কাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন
যখন মুসা নবীর জন্ম হয় তখন প্রাচীন মিশরের রাজধানী ছিল পেন্টাটিউক। মিশরের নীলনদের তীরে বসবাস করতেন ফেরাউন রামেসিস। আজকে আমি মুসা নবীর জীবন কাহিনী সম্পর্কে আলোকপাত করবো তাই অবশ্যই ধৈর্য সহকারে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ করতে হবে।

হযরত মুসা নবীর জীবন কাহিনী

হযরত মুসা (আ.) পবিত্র কুরআনে সবচেয়ে বেশি উল্লেখিত নবী। হযরত মুসা ফেরাউনের সময়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইসলাম ধর্মে হযরত মুসা নবীকে প্রিয় ও সম্মান করা হয় কারণ তিনি ছিলেন নবী ও রাসূল। মুসলমানরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর সমস্ত রসূল এবং তাদের প্রতি অবতীর্ণ পবিত্র গ্রন্থসমূহে বিশ্বাস করতেন। পবিত্র কুরআনে, হযরত মুসা-এর অধিকাংশ সময় উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাঁর কাহিনী পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন অধ্যায়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

মিশরের ফেরাউন ছিলেন ইহুদিদের প্রতি বিদ্বেষভাবাপন্ন। এমত অবস্থায় একবার কয়েকজন জ্যোতিষী গণনা করে ফেরাউন কে বলেছিলেন যে ইহুদি পরিবারের মধ্যে এমন একজন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে যে ভবিষ্যতে মিশরের পক্ষে বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। জ্যোতিষীদের কথা শুনে ফেরাউন ভীত হয়ে পড়লেন। এবং এ কথা শুনে ফেরাউন আদেশ দিলেন কোন ইহুদি পরিবারে সন্তান জন্মগ্রহণ করলে যেন তাকে অবশ্যই হত্যা করা হয়। ফেরাউনের গুপ্তচররা চতুর্দিকে টহল দিতে লাগলো। যখনই কোন পরিবারে সন্তান জন্মানোর সংবাদ পেতো ঠিক তখনই গিয়ে সেই সকল নবজাতক শিশুদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করত।

সেই সময় ইহুদি মহল্লাতে বাস করতেন আশ্রম আর জোশিবেদ নামে এক নব সদ্যবিবাহিত দম্পত্তি। যথাসময়ে তাদের পরিবারে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করল। কিন্তু তাদের মনে ভয় ছিল যে ইহুদিরা জানতে পারলে তাদের সন্তানকে মেরে ফেলবে তাই যেভাবেই হোক এই সন্তানকে রক্ষা করতেই হবে। কেইবা বলতে পারে এই সন্তানই হয়তো কোন একদিন ইহুদি জাতিকে সমস্ত নির্যাতন থেকে রক্ষা করবে। সকলের চোখের আড়ালে সম্পূর্ণ গোপনে শিশু সন্তানকে বড় করে তুলতে লাগলেন আশরাম আর জোশিবেদ। কিন্তু আফসোস বেশিদিন আর এই সংবাদ গোপন রাখা গেল না। তখন তারা বুঝতে পারলেন যে যে কোন মুহূর্তে ফেরাউনের সৈনিকরা এসে তাদের সন্তানকে তুলে নিয়ে হত্যা করবে। আর এই জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার ওপর বিশ্বাস রেখে নীলনদের তীরে এক নির্জন ঘাটে এসে শিশুকে একটি পাত্রের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে চলে গেলেন কিন্তু মহান আল্লাহতালার কি পাই সেই নদীর ঘাটে প্রতিদিন গোসল করতে আসতো ফেরাউনের কন্যা।

সুন্দর একটি বাচ্চাকে একা পড়ে থাকতে দেখে তার মায়া হল এবং তাকে তুলে নিয়ে এলো তাদের রাজপ্রাসাদে। এরপর সেই শিশুসন্তানকে নিজের সন্তানের মতোই ভালোবাসা দিয়ে মানুষ করতে লাগলো রাজকন্যা শিশুর নাম রাখলেন মুসা।

আমরা অনেকেই জানি যে, মহান আল্লাহর রসূলগণকে এই পৃথিবীর মানুষের কাছে একমাত্র আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। হযরত মূসা (আ.)-কেও ইসরাঈলের কাছে পাঠানো হয়েছিল যাতে তারা অবশ্যই সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইবাদত করে এবং তাঁর প্রতি যে পবিত্রতা অবতীর্ণ হয় তা ছিল তাওরাত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন: “নিশ্চয়ই আমি মূসার প্রতি তাওরাত নাজিল করেছি তাতে ছিল হেদায়েত ও আলো, যার দ্বারা নবীগণ, যারা নিজেদেরকে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন, তারা ইহুদিদের বিচার করতেন। এবং রব্বি এবং যাজকরাও তাওরাত দ্বারা ইহুদিদের বিচার করতেন কারণ তাদের কাছে ঈশ্বরের গ্রন্থের সুরক্ষার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল এবং তারা এর সাক্ষী রয়েছিল।” (কুরআন, 5:44)

হযরত মুসা নবীর ঘটনা

এরপরে ধীরে ধীরে কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ করলেন মুসা নবী। কিন্তু দিন দিন ফেরাউনের অত্যাচার বেড়েই চলতো এ সকল অত্যাচার দেখে মুসার ভালো লাগতো না। একদিন মিশরের রাজপথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মুসা এমন সময় তার চোখে পড়ল এক হতভাগ্য ইহুদিকে নির্মমভাবে প্রহার করছে তার মিশরীয় মনিব। এ দৃশ্য দেখে মুসা আর স্থির থাকতে পারলেন না, তিনি সেই ইহুদিকে উদ্ধার করার জন্য নিজের হাতে তরবারি দিয়ে আঘাত করলেন মিশরীয় মনিবকে আর সেই আঘাতে মারা গেল সেই মিশরীয় লোকটি। ইহুদি লোকটি চারদিকে এ কথা প্রকাশ করে দিল ফেরাউনকে গিয়ে সংবাদটা দিতে ক্রোধে ফেটে পড়লেন ফেরাউন। তিনি বুঝতে পারলেন রাজকন্যা মুসাকে মানুষ করলেও তার শরীরে বইছে ইহুদিদের রক্ত আর এই জন্য নিজের ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার হতে দেখে মিশরীয়কে হত্যা করেছে। আর এজন্য তারা তখন ভাবল এমত অবস্থায় মুসাকে অবশ্যই বন্দী করা উচিত তা হলে পরিস্থিতি আরো বেশি ভয়াবহ হতে পারে যেমন কথা তেমন কাজ তখন ফেরাউন সৈনিকদের ডেকে হুকুম দিলেন যেখান থেকে হোক না কেন মুসাকে অবশ্যই বন্দী করে নিয়ে আসো।

এ কথা যখন মূসা জানতে পারলেন ঠিক তখনই বিলম্ব না করে সে নগর ত্যাগ করলেন। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার পর মুসা ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়লেন। তার চোখে পড়ল দূরে একটি কুপ। আর সেই কুপের সামনে সাতটি মেয়ে তাদের ভেরাকে পানি খাওয়া ছিল হঠাৎ একদল মেষপালক সেখানে এসে মেয়েদের কাছ থেকে জোর করে ভেড়াগুলোকে কেড়ে নিচ্ছিল সাথে সাথে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিল সাত বোন। আর তাদের চিৎকার শুনে দৌড়ে এলেন মুসা তারপর মেষ পালকদের কাছ থেকে সব ভেড়া উদ্ধার করে মেয়েদেরকে ফিরিয়ে দিলেন পরিশেষে মেয়েরা তাকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন।

এরপরে সেই সাত বোন তাদের বাবার কাছে গল্প করেন এবং মুসাকে ডেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলে মুসা সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। এরপরে মুসার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে সাত বনের মধ্যে একজনকে মুসার সাথে বিয়ে দেন তাদের সাথে থাকতে থাকতে মুসা মেষ চড়ানো আয়ত্ত করে ফেলল এবং খুব সহজেই নতুন এক পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিলেন এভাবেই চলতে থাকে কয়েক বছর। কিন্তু ওই দিকে মিশরের ইহুদিদের অবস্থা ক্রমশই দুর্বিষয় হয়ে উঠছিল। একদিন মেসির পাল নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে নির্জন এক পাহাড়ের প্রান্তে এসে পৌঁছালে সামনে বেশ কিছু গাছপালা দেখে হঠাৎ মুসা দেখে সেই গাছপালা পাহাড়ের মধ্যে থেকে এক আলোক ছটা বেরিয়ে এল যেন তাকে এই আলো আচ্ছন্ন করে ফেলেছে কোন এক সময় তিনি শুনতে পেলেন আলোর মধ্য থেকে এক অলৌকিক কণ্ঠস্বর ভেসে আসছে মুসা মুসা বলে। এমন ধনী সন্দীপে মুসার চমকে উঠলেন কেউ তার ওই নাম ধরে ডাকছে তৎক্ষণাৎ সারা দিলেন কে আপনি আমায় ডাকছেন সে অলৌকিক কণ্ঠস্বর বলে উঠল আমি তোমার ও তোমার পূর্বপুরুষদের একমাত্র ঈশ্বর।

ঈশ্বর তার সাথে কথা বলছেন এ যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ভিতু হয়ে মাটিতে নতজানু হয়ে বসে পড়লেন মুসা। মুসা প্রশ্ন করলেন আমার কাছে কি প্রয়োজন প্রভু? তখন কণ্ঠস্বর বলে উঠলো তুমি আমার প্রতিনিধি হিসেবে মিশরে ফিরে যাও সেখানে ইহুদিরা অমানুষিক নির্যাতন ভোগ করছে। তুমি ইহুদিদের মুক্ত করে নতুন দেশে নিয়ে যাবে আর তখন মুছা বললেন আমি কেমন করে তাদের মুক্তি দেব?

তখন সেই কণ্ঠস্বর বলে উঠলো আমি তোমাকে অদৃশ্যভাবে সাহায্য করবো তবে ফ্যারাওয়ের কাছে গিয়ে বল আমি একমাত্র তোমাকে প্রেরণ করেছি এবং সকলেই যেন তোমার কথা মেনে চলে। ঠিক তখন মোছা বললেন কিন্তু যখন তারা জিজ্ঞেস করবে ঈশ্বরের নাম তখন আমি কি উত্তর দেব প্রথমে ঈশ্বর তার নাম প্রকাশ না করলে পরে বললেন তিনি এই বিশ্বজগতের চেষ্টা আল্লাহ। এর কয়েক দিন পর দ্বিতীয়বার ঈশ্বরের আদেশ পেলেন মুসা নবী। তিনি পুনরায় আবর্তিত হলেন মুসার সামনে অতঃপর বললেন তোমার উপর আমি প্রসন্ন হয়েছি একমাত্র তুমিই পারবে ইহুদি জাতিকে এই সংকটময় থেকে উদ্ধার করতে অল্প কয়েকদিন পর স্ত্রী সন্তানদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মিশরের পথে যাত্রা শুরু করলেন মুসা। যথাসময়ে মিশরে গিয়ে পৌঁছালেন, তিনি গিয়ে দেখলেন সত্যি সত্যি ইহুদীরা খুব দুরবস্থার মধ্যে ছিল মোছা প্রথমেই সাক্ষাৎ করলেন ইহুদীনের প্রধান নেতৃত্বীয় ব্যক্তিদের সাথে তাদের সকলকে বললেন ঈশ্বরের আদেশের কথা। তারা সকলে তার কথা বিশ্বাস করলেন এবং মুসা বললেন আমরা ফেরাউনের কাছে গিয়ে দেশ ত্যাগ করার অনুমতি প্রার্থনা করব।

যেমন কথা তেমন কাজ মশা কয়েকজনকে নিয়ে ফেরাউনের সামনে গেলেন এবং মুসা জানতেন সরাসরি দেশত্যাগের অনুমতি চাইলে কখনোই অনুমতি দেবেন না তাই তিনি বলেন সম্রাট আমাদের স্রষ্টা আদেশ দিয়েছেন সমস্ত ইহুদীকে মরুপ্রান্তরে এক পাহাড়ে গিয়ে প্রার্থনা করতে আপনি যদি কয়েকদিনের জন্য সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেন কিন্তু ফেরাউন মুসার অনুরোধে সারা দিলেন না তোমাদের আল্লাহর আদেশ আমি মানিনা। এবং ফেরাউন বললেন তোমরা মিশর ত্যাগ করে কোথাও যেতে পারবে না।

আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) বলেছেন যে কুরআনে মূসা (আঃ) এবং ফেরাউনের কাহিনী সত্য। এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং নিপীড়নের গল্প যার কোন সীমা ছিল না। পবিত্র কুরআনে এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে: “আমরা তোমাদের কাছে মূসা ও ফেরাউনের কিছু সংবাদ সত্যভাবে শুনাচ্ছি, যে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য। নিঃসন্দেহে ফেরাউন ভূমিতে নিজেকে উন্নত করেছিল এবং সেখানকার লোকদেরকে দলে দলে পরিণত করেছিল, তাদের মধ্যে একটি দলকে (অর্থাৎ বনী ইসরাঈলকে) দুর্বল করে দিয়েছিল; তাদের ছেলেদের হত্যা করে এবং তাদের মেয়েদের বাঁচতে দেয়। নিঃসন্দেহে তিনি ছিলেন মহাপাপ ও অপরাধকারী, অত্যাচারী, অত্যাচারী।" (কুরআন, ২৮:৩-৪) আর এই জন্য ফেরাউনকে নীলনদে ডুবে মরতে হয়েছিল।

আল্লাহর কাছ থেকে এসব নিদর্শন পাওয়ার পর মূসা (আ.) ফেরাউনের কাছে যান এবং তাকে বলেন যে তিনি (আ.) মহান আল্লাহর রসূল যার প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। মুসা (আঃ) তার লাঠিটি মাটিতে ফেলে দিলে তা সাপে পরিণত হয়। অলৌকিক ঘটনাটি ফেরাউনকে ভয় পেল এবং সে তার মন্ত্রীদের কাছে পরামর্শের জন্য ফিরে গেল। তারা তাকে বলেছিল যে হযরত মুসা (আঃ) একজন ভাল যাদুকর এবং তাদের নিজস্ব যাদুকররা সহজেই এই ধরনের কৌশল করতে পারে।

তারপর ফেরাউন সমস্ত বড় জাদুকরকে তার দরবারে ডেকেছিল যাতে তারা মুসা (আঃ) এর মতো কৌশল করতে পারে। যখন তাদের বলা হয়েছিল কী করতে হবে, তারা চিন্তিত ছিল না। তারা মাটিতে দড়ির টুকরো ছুঁড়ে ফেলল এবং এই দড়িগুলো সাপের মতো নড়বড়ে হতে লাগল। কিন্তু হযরত মুসা (আঃ) যখন তার লাঠিটি নিক্ষেপ করলেন তখন তার সাপ দড়ির সমস্ত টুকরো খেয়ে ফেলল। যাদুকররা তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারল যে এটি কোন জাদু নয় বরং একটি অলৌকিক ঘটনা, এবং সেজদা করে বলল, “আমরা মুসার বিশ্বাসে বিশ্বাস করি”। আল্লাহ পরাক্রমশালী হযরত মুসা (আঃ) কে ফেরাউনকে সতর্ক করার জন্য বলেছিলেন যে তিনি তাকে এবং তার সম্প্রদায়কে শাস্তি দেবেন যদি তারা তাদের পথে চলতে থাকে এবং তাদের বিশ্বাস গ্রহণ না করে। কিন্তু ফেরাউন সতর্কতা শুনে খুব গর্বিত ছিল।

তাই তাকে এবং তার অনুসারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য দেশ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে। পঙ্গপালের ঝাঁক ফসল খেয়ে ফেলে। নীল নদ তার তীর প্লাবিত করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটায়। লোকেরা উকুন এবং টিউমারে আক্রান্ত হয়েছিল। যখন এই সব ঘটে তখন লোকেরা হযরত মুসা (আ.)-এর কাছে ছুটে যায় এবং তাকে তাদের মুক্তির জন্য প্রার্থনা করতে বলে এবং তার ধর্ম অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু যখন তারা সুস্থ হয়ে ওঠে এবং অবস্থার উন্নতি হয় তখন তারা তাদের মূর্তি পূজায় ফিরে আসে।

মূসা (আ.) বনী ইসরাঈলের লোকদের একত্র করে ফিলিস্তিনে চলে যান। যখন ফিরআউন তাদের পলায়নের কথা জানতে পারল তখন সে বিশাল বাহিনী নিয়ে তাদের অনুসরণ করল। যখন মুসা (আঃ) বনী ইসরাঈলের লোকদের নিয়ে লোহিত সাগরে পৌঁছান তখন তারা ফেরাউনকে তাদের কাছে আসতে দেখেন এবং নিশ্চিত হন যে তারা নিহত হবেন। তবুও, হযরত মুসা (আঃ) তার লাঠি দিয়ে সাগরের পানিতে আঘাত করলেন এবং পানি বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি শুষ্ক পথ তৈরি করল। মানুষ নিরাপদে পাড়ি দিয়েছে। ফিরআউন পথ দেখে তার সৈন্যদলের মাথায় সমুদ্রে প্রবেশ করল। কিন্তু যখন তিনি সমুদ্রের মাঝখানে ছিলেন তখন হঠাৎ করে তার এবং তার লোকদের চারপাশে জল বন্ধ হয়ে গেল। এভাবে ফেরাউন ও তার বাহিনী নদীতে ডুবে মারা যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url