জান্নাত লাভের উপায় - জান্নাতের নাম গুলো কি কি

 প্রিয় পাঠক আজকে এমন একটি আর্টিকেল আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি তা হল জান্নাত লাভের উপায় কি? অনেকেই জান্নাত লাভের উপায় সম্পর্কে জানতে চান। কিন্তু জান্নাত লাভ করতে হলে ইসলামের প্রতি কি কি অনুগত প্রশ্ন করতে হয় সে সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়। আর তাই আজকে জান্নাত লাভের উপায় ও জান্নাতের নাম গুলো কি কি সে বিষয়ে আলোকপাত করবো।

জান্নাত লাভের উপায় - জান্নাতের নাম গুলো কি কি

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আজকে আমরা জান্নাত লাভের সঠিক দিক এবং জান্নাত লাভের উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য উপাত্ত জানবো। তাহলে আর দেরি না করে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করতে থাকুন।

জান্নাত লাভের উপায়

জান্নাত লাভ করতে হলে আমাদের অবশ্যই আল্লাহর দেওয়া বিধি-বিধান এবং নবী রাসুলের দেখানো পথ অনুসরণ করতে হবে। নবী-রাসূলের দেখানো পথ অনুসরণ করলেই জান্নাত লাভ করা সম্ভব। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই পাত্তাহিক জীবনে নবী রাসূলের দেখানো পথ অনুসরণের পাশাপাশি যে সকল ইবাদত করলে জান্নাত লাভ করা যাবে সেগুলো হল আল্লাহর সাথে কারো শিরক না করা।

শিরক না করা

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বলবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু তাহলে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দিবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন নিশ্চয় যারা বলে আমাদের রব আল্লাহ এবং এ কথার ওপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস থাকে তাদের কোন ভয় ভীতি নেই, তাদের কোন চিন্তা নেই, তারাই জান্নাতবাসি সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এই জান্নাত তারা তাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ ভোগ করবে। আর এই জন্য আল্লাহর সঙ্গে কখনো কারো শিরক করা যাবে না। যেমনঃ

  • আহবানের শিরক
  • ফরিয়াদের শিরক
  • আশ্রয়ের শিরক
  • আশা বা বাসনার শিরক
  • নামাজের শিরক
  • তাওবার শিরক
  • জবাইয়ের শিরক
  • আনুগত্যের শিরক
  • ভালোবাসার শিরক
  • ভয়ের শিরক
  • ভরসার শিরক
  • হিদায়াতের শিরক
  • আল্লাহর অবস্থান সম্পর্কিত শিরক
  • মানুষের অন্তরের শিরক
  • আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ সন্তান দিতে পারে এমন শিরক
  • আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ বিশ্ব পরিচালনা করেন এমন শিরক

আল্লাহর এবাদত করা

জান্নাত লাভ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে আল্লাহর এবাদতে মশগুল থাকতে হবে। যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করবে এমত অবস্থায় সে আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করেনি তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে যদি আল্লাহ তালা চায়। একদা এক জনৈক সাহাবী এসে আল্লাহর রাসূলকে বললেন আমাকে এমন আমলের সংবাদ দিন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। তখন আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তুমি আল্লাহর এবাদত করবে এতে তার সাথে কাউকে শরিক করবে না প্রতিনিয়ত নামাজ কায়েম করবে যাকাত প্রদান করবে এবং নিকট আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।

মহান আল্লাহ তা'আলা যেমন বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা ঠিক তেমন সব জীবেরও স্রষ্টা। আল্লাহ মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন কেবলমাত্র তারাই এবাদত করার জন্য। পবিত্র কোরআনে সূরা যারিয়াতের 56 নং আয়াতে মানুষ ও জিন সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা করেছেন যে আমি সৃষ্টি করেছি জিন এবং মানুষ জাতিকে এজন্য যে তারা আমারই একমাত্র এবাদত করবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখানো পথ অনুসরণ করে এবাদত করবে পরকালে তারা জান্নাতের আনন্দময় জীবন লাভ করবে। আর যারা আল্লাহর প্রতি আনুগত্য পোষণ করে না যারা তার এবাদতে অনাগ্রহ দেখায় কিংবা আল্লাহর নির্দেশ লঙ্ঘন করে তাদের জন্য কঠিন সাজার কথা ঘোষণা করা রয়েছে এবং তাদের স্থান হবে কেবলমাত্র জাহান্নাম।

পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা

মহান আল্লাহতালা প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির ওপর দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যাক্তি তা কোন অংশে কম না করে ঠিকভাবে আদায় করবে তার জন্য আল্লাহ তায়ালার প্রতিশ্রুতি হলো তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো। আর যে আদায় করবে না তার জন্য আল্লাহর কোন প্রতিশ্রুতি নেই ইচ্ছা করলে শাস্তি দিবেন বা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

কোরআন পাঠ করা

আল কোরআনের অনুসারীগণ যারা আল্লাহর আহল ও তার খাস বান্দা কোরআন তাদের জান্নাতে প্রবেশের উপায় হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত রয়েছে যে কোরআনের কতিপয় সূরা আয়াত জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যম। আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা হতে বর্ণিত যে এক ব্যক্তি মসজিদে কোবায় আনসার সাহাবীদের ইমামতি করতেন। তিনি প্রতি রাকাতেই সূরা ইখলাস পাঠ করতেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন তুমি কোন কারনে প্রতি রাকাতে এছাড়া পাঠ কর? উত্তর এসে সাহাবী বললেন হে আল্লাহর রাসূল আমি এ সূরাটি খুবই পছন্দ করি। তুমি জান্নাতে প্রবেশ করবে।

ফরজ রোজা রাখা

জান্নাত লাভের উপায় হিসেবে অবশ্যই আপনাদেরকে ফরজ রোজা রাখতে হবে। যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একদিন রোজা রাখবে আল্লাহ তা'আলা তার থেকে জাহান্নামকে এক সত্তর বছরের দূরুতে সরিয়ে নিবেন। এ থেকে আমরা খুব সহজেই যে রোজা কতটা ভালো। রোজা ও কোরআন কেয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে হে আমার প্রতিপালক! আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত রেখেছি তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল কর, কোরআন বলবে হে প্রতিপালক! আমি তাকে রাতে বিনিদ্র রেখেছি তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো অতঃপর হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেন উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে সেদিন।

মিথ্যা ছেড়ে সত্য বলতে হবে

যে ব্যক্তি সত্য বলার অভ্যাস করে আল্লাহতালা তাকে পাঁচটি পুরস্কার দান করেন। যেমনঃ আল্লাহ তায়ালা তাকে পেরেশানি থেকে বের হওয়ার পথ দেখিয়ে দেন এবং তাকে শান্তির ভেতর প্রবেশ করার তৌফিক দান করেন। মক্কা জীবনের রাসূল সাঃ কত কষ্ট সহ্য করেছেন। দুশমনের তুনীরে এমন কোন তীর ছিল না যা তার শরীরে নিক্ষিপ্ত হয়নি। ঘরে ঘরে তার শত্রু ছিল কিন্তু আল্লাহ তা'আলা তাকে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের করে এনেছেন এবং সহিসালামতে মদিনায় পৌঁছে দিয়েছেন। সত্য বলার কারনে মানুষের প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়। এছাড়া সত্য বলার কারনে মহান আল্লাহতালা মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়।

জিহবা ও লজ্জা স্থানের হেফাজত করা

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়াল এর মধ্যবর্তী জিনিস অর্থাৎ জিহবা এবং দুই উরুর মধ্যবর্তী জিনিস অর্থাৎ লজ্জাস্থান এর হেফাজতের নিশ্চয়তা দেবে আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব। এ থেকে বোঝা চাই যে জান্নাত লাভের উপায় হিসেবে অবশ্যই জিহবা ও লজ্জা স্থানের হেফাজত করতে হবে।

সালাতের প্রতি যত্নবান হওয়া

সালাত হল ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। নামাজ মুসলমানদের জন্য মহান আল্লাহ তা'আলা ফরজ করেছেন। আল্লাহর নিকট প্রিয় ইবাদত হল ফরজ কাজগুলো করা। ওবাদা ইবনে সামেত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আল্লাহ বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি সালাত সমূহের হকের কোন প্রকার কমতি ও তাচ্ছিল্য না করে সঠিকভাবে সেগুলো আদায় করে তার জন্য আল্লাহর এ অঙ্গীকার যে তিনি তাকে জান্নাত দান করবে।

পিতা-মাতার খেদমত করা

জান্নাত লাভ করতে হলে বা জান্নাত লাভের উপায় হিসেবে অবশ্যই পিতামাতার খেদমত করতে হবে। পিতা মাতার সেবা করলে বিপদের সময় আল্লাহ তায়ালা তাকে সাহায্য করে। দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল করে ও বিপদে রক্ষা করে থাকে। যেমন বনি ইসরাইলের জৈনক ব্যক্তি পিতা-মাতার সেবা করার কারণে বিপদে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

আল্লাহর পথে দান করা

আল্লাহর পথে আরবিতে ইনফাক ফী সাবিলিল্লাহ বলে। আরবি ইন ফাক শব্দটি মূল ধাতু হতে উৎপন্ন হয়। যার অর্থ হল মুখ খোলা। অর্থাৎ যার এক দিক দিয়ে প্রবেশ করে অন্যদিক দিয়ে বের হয়ে যায়। এই পৃথিবীতে মুসলমানদের জান, মাল, সম্পদ স্তুপিকৃত হয়ে থাকার জন্য নয় বরং একদিক দিয়ে আয় হবে অন্য দিক দিয়ে তা ব্যয় হতে থাকবে। এই জন্য মুসলমানদের উচিত কঠিন সেই মুসিবতের দিন আসার পূর্বেই আল্লাহর পথে ব্যয় করা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে যে হে মুমিনগণ আমি তোমাদের যে রিজিক দিয়েছি তা হতে ব্যয় করো এবং সেদিন আসার পূর্বে যেদিন থাকবে না কোনো ক্রয় বিক্রয় না কোন বন্ধুত্ব এবং না কোন সুপারিশ। আর এই জন্য অবশ্যই আল্লাহর পথে দান করতে হবে। ইয়াতিমদের লালন পালন করার ফলেও মহান আল্লাহতালা জান্নাতের প্রবেশ করাবেন।

প্রিয় পাঠকগণ এতক্ষণ আমরা জান্নাত লাভের উপায় এবং কোন কোন কাজ করলে জান্নাত পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছি এখন আমরা জান্নাতের নাম গুলো কি কি সেই সম্পর্কে জানব-

জান্নাতের নাম গুলো কি কি

আরবি জান্নাত অর্থ হল-ঘন সন্নিবেশিত বাগান। আরবিতে বাগানকে রওজা এবং হাদিকা ও বলা হয়। কিন্তু জান্নাত শব্দটি আল্লাহ তায়ালার নিদর্শন একটি পরিভাষা। জান্নাত শব্দের মৌলিক অর্থ গোপন বা আবৃত রাখা। বাগান যেহেতু গাছপালা দ্বারা আবৃত থাকে তাই বাগানকে জান্নাত বলা হয়ে থাকে। আর পরকালের জান্নাত অসংখ্য নিয়ামত দ্বারা আবৃত থাকবে তাই তাকে জান্নাত নামে নামকরণ করা হয়েছে। পারিভাষিক অর্থে জান্নাত বলতে এমন স্থানকে বোঝায় যা আল্লাহতালা তার অনুগত্য তাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছেন যা দিগন্ত বিস্তৃত নানা রকম ফুলেফলে সুশোভিত সুরম্য অট্টালিকা সংবলিত মনোমুগ্ধকর বাগান। যার পাশ দিয়ে প্রবাহমান বিভিন্ন ধরনের নদী-নালা ও ঝর্ণাধারা থাকবে যেখানে চির বসন্ত বিরাজমান।

জান্নাত হল চির শান্তির স্থান মানুষ ও জ্বীনদের অন্তহীন চাওয়া-পাওয়া পরম সুখ শান্তি এবং ভোগবিলাসের অকল্পনীয় পূর্ণতা লাভের একমাত্র আবাসস্থল। এর প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। আমাদের প্রিয় নবী বর্ণনা করেন মহান আল্লাহতালা বলেন আমি আমার সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য এমন নিয়ামত প্রস্তুত করে রেখেছি যা কোন চোখ দেখেনি কোনো কান তা শোনেনি এমনকি কোন মানুষ তা কল্পনাও করতে পারে না।

জান্নাতের নাম অর্থ ও শব্দের উৎপত্তি সম্পর্কে আল্লামা ইবনুল কাইয়িম রা. বলেন জান্নাতের গুণাবলী বিবেচনার দিক দিয়ে জান্নাতের নাম একাধিক কিন্তু জান্নাত একাধিক নয় বরং একটি। সুতরাং এই দিকটির বিবেচনায় একাধিক নামের অর্থ অভিন্ন আর জান্নাতের গুণাবলীর দিক বিবেচনায় প্রতিটি নামের অর্থ ভিন্ন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাত বোঝানোর জন্য জান্নাতের গুণ ও বৈশিষ্ট্যের বিবেচনায় বিভিন্ন শব্দ বা নাম ব্যবহার করেছেন, আর তাই পবিত্র কোরআনে জান্নাতের আটটি নাম পাওয়া যায় তা হল যথাঃ

১. জান্নাতুল ফেরদাউস অর্থঃ এমন বাগানকে বলা হয় যেখানে সব ধরনের গাছ-পালা এবং বিভিন্ন বাগান থাকে সেটি হল জান্নাতুল ফেরদাউস। জান্নাত গুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাত হচ্ছে জান্নাতুল ফেরদাউস

২. জান্নাতুল নাঈম অর্থঃ সুখ-স্বাচ্ছন্দ দান-নেয়ামত

৩. জান্নাতুল মাওয়া অর্থঃ ঠিকানা বা প্রকৃত আশ্রয়স্থল

৪. জান্নাতুল আদন অর্থঃ কোন স্থানে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া, বসবাস করা ও চিরঞ্জীব

৫. দারুস সালাম অর্থঃ শান্তির ঘর

৬. দারুল খুলদ অর্থঃ স্থায়ী হওয়া

৭. দারুল মাকাম অর্থঃ স্থায়ী আবাসের বাড়ি যেখান থেকে কখনো কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না

৮. দারুল কারার অর্থঃ স্থায়ী আবাস, যার শুরু আছে কিন্তু কখনও শেষ নেই

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url