জানাযার নামাজ - জানাজার নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক, আপনারা কি জানাজার নামাজ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? জানাজার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়। জানাজার নামাজ পড়ার নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন আজকে আমাদের সমস্ত পোস্ট জুড়ে জানাজার নামাজ ও জানাজার নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানানো হবে।

জানাজার নামাজ - জানাজার নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। আর তাই জন্ম যার মৃত্যু তার অবধারিত। মুসলিম ধর্ম অবলম্বীদের মৃত্যুর পরে ইসলামের শরিয়া মোতাবেক জানাজার নামাজ পড়না হয়ে থাকে। আর এই জানাজার নামাজ একজন ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে দলবদ্ধ ভাবে সংঘটিত হয়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ জানাজার নামাজ - জানাজার নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

জানাজার নামাজ

জানাজা একটি বিশেষ প্রার্থনা ব্যক্তিকে কবর দেওয়ার পূর্বে সংগঠিত করা হয়। আর এই জানাজার নামাজ কেবল মুসলিম ধর্মালম্বীদের মধ্যে সংঘটিত হয়ে থাকে। জানাজার নামাজ ফরজে কেফায়া আবার সমাজের জন্য আবশ্যকীয় দায়িত্ব অর্থাৎ কোন মুসলমানের মৃত্যু হলে মুসলমান সমাজের পক্ষ থেকে অবশ্যই জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত করা হয়।

জানাযার নামাজে একজন ইমামের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়ে থাকে। আর এই যারা যারা নামাজ চার তাকবীর এর সহিত আদায় করা হয়। এবং দাঁড়িয়ে এ নামাজ আদায় করতে হয় এবং এছাড়া সালাম ফেরানোর মধ্য দিয়ে নামাজের পরিসমাপ্তি ঘটে। সাধারণত জানাযার নামাজের শেষে মোনাজাত বা দোয়া করতে হয় না কারণ ইসলামের প্রতিষ্ঠিত বিধান অনুযায়ী নামাজের মাধ্যমে মৃতের জন্য দোয়া করা হয়ে থাকে। আর তাই বাড়তি করে মৃত ব্যক্তিকে কবর দেওয়ার পরে দোয়া বা মোনাজাত করা প্রয়োজন হয় না, যদিও অনেক ক্ষেত্রেই কবর দেওয়ার পরে দোয়া বা মোনাজাত করা হয়।

মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার পদ্ধতি

মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া জীবিত মানুষদের ওপর ফরজে কেফায়া এবং পুরুষের গোসল পুরুষে আর নারীদের গোসল কেবল নারী রায় দিবে এবং গোসল দেয়ার জন্য মৃত ব্যক্তির কাছের আত্মীয়রাই করা উত্তম। তবে যদি তাদের মধ্যে গোসল দেওয়ার মতো কেউ না থাকে তাহলে যেকোনো একজন দ্বীনদার ব্যক্তি মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো যাবে।

আরো পড়ুনঃ নামাজের বিবরণ - পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ঐতিহাসিক পটভূমি

মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার পদ্ধতি অনেকেই জানতে চাই। পবিত্র হাদীছ শরীফে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন যে ব্যক্তি কোন মুসলিম মাইয়াতকে গোসল করালো অতঃপর তার গোপনীয়তা সমূহ গোপন রাখল আল্লাহ তাকে 40 বার ক্ষমা করবেন আমীন। যে ব্যক্তি মাইয়াতের জন্য কবর খনন করল, অতঃপর দাফন শেষে তা ঢেকে দিল আল্লাহ তাআলা তাকে কেয়ামত পর্যন্ত পুরস্কার দিবেন জান্নাতের একটি বাড়ির সমপরিমান যেখানে আল্লাহ তাকে সুসজ্জিত করে রাখবেন। আল্লাহতালা তাকে কিয়ামতের দিন জান্নাতের মিহি এবং মোটা রেশমির কাপড় পরিধান করাবেন।

মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার পদ্ধতি রয়েছে নিচে তার নিম্নরূপ দেওয়া হলঃ প্রথমত মৃত ব্যক্তিকে একটি কাঠের খাটিয়া বা অন্য কোন অশু বস্তুর ওপর রাখতে হবে। এরপর এর চতুর্দিকে কাপড় বা অন্য কিছু দ্বারা ঘিরে ফেলতে হবে যাতে করে ভেতরে কি হচ্ছে তা অন্য কেউ দেখতে বা বুঝতে না পারে। যদি গোসলখানায় গোসল দেওয়া হয় তবে অতিরিক্ত পর্দা দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই কারণ সেইখানে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ঢুকবে না। অন্যদিকে ওই পদ্মার অন্তরালে গোসলদাতা ও সাহায্যকারী এই দুই জন ব্যতীত আর কেউ থাকবে না তবে খাটিয়ার চারিদিকে আগরবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া ভালো।

এরপরে মৃত ব্যক্তির সকল কাপড়চোপড় তার শরীর থেকে খুলে ফেলতে হবে। মৃত ব্যক্তির নাভী হতে হাটুর নিচ পর্যন্ত অন্য একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা, এবং হাতের কাপড় পেচিয়ে ঢিলা ও পানি দিয়ে মৃত্যের ইস্তেঞ্জা করিয়ে দিতে হবে। আর এই সময় ভুল করেও সতরের দিকে তাকানো যাবে না। এরপর মৃত ব্যক্তিকে অজু করিয়ে দিতে হবে তবে নাকেও মুখে পানি প্রবেশ করানো যাবে না ভিজা কাপড় দ্বারা মুখের ভেতর ও নাক মুছে পরিষ্কার করে দিতে হবে অজু করানোর সময় প্রথমে মুখমন্ডল এরপর ডান হাত পরে বাম হাতের পর্যন্ত ধুয়ে দিতে হবে।

তৃতীয়তঃ বড়ই পাতা দিয়ে পানি গরম করে সেই পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। বরই পাতা না থাকলে অন্য কোন ঔষধ বা শুধু গরম পানি দিয়ে গোসল করালেই চলবে। গোসলের পূর্বে নাকি ও কানে কিছু তুলা বা কাপড় দিয়ে আটকে দিতে হবে যাতে পানি ঢুকতে না পারে। তবে এখানে একটি লক্ষণীয় বিষয় হলো যদি কারো ঋতুবর্তী বা নিফজ বা ফরজ গোসল থাকাকালীন মৃত্যু হয় তবে নাকে ও মুখে পানি দেওয়া উচিত। এরপর মৃত ব্যক্তিকে বাম হাতে শুইয়ে দিয়ে ডান পার্শে তিনবার বা ৫ বার পানি ঢেলে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর মৃত ব্যক্তিকে নিজের সাথে বা অন্য কোন কিছুর সাথে সামান্য হেলান দিয়ে বসিয়ে আস্তে আস্তে পেটে চাপ দিতে যাতে পেটের মধ্যে কিছু থাকলে বের হয়ে যায়।

গোসলের পর শুকনা কাপড়ের মাধ্যমে সমস্ত শরীর ভালো হবে মুছে ফেলতে হবে। কাপড় লাগিয়ে দিতে হবে। তাহলে আমরা জানাজার নামাজ ও মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে সকল বিস্তারিত জানতে পারলাম। এখন আমরা জানাজার নামাজের শর্ত সম্পর্কে জানব।

জানাজার নামাজের শর্ত

জানাজার নামাজের জন্য শর্ত হলোঃ

১. জায়গা পাক হওয়া

২. কাপড় পাক হওয়া

৩. সতর ঢাকা

৪. কেবলামুখী হওয়া

৫. মৃত ব্যক্তি পুরুষ না মহিলা তা জেনে নিয়ত করা

৬. ইমামপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়া

৭. মাইয়া মুসলমান হওয়া

৮. শবদেহ পবিত্র হওয়া

৯. কাফন পবিত্র হওয়া

১০. মৃত্যের খাট মাটির ওপরে থাকা আবশ্যক

১১. মৃত্যের সতর ঢাকা থাকা

যাদের জানাজা পড়া যাবে ও যাদের জানাজা পড়া যাবে না

ইসলামের দৃষ্টিতে কেবল ওই সব ব্যক্তি যারা ইসলামকে একমাত্র সত্য ধর্ম হিসেবে মেনে কবুল করেননি এবং অকাট্টভাবে প্রমাণিত ইসলামী আকীদা বিশ্বাস ও বিধানবলিকে সত্য মনে করে না বরং ইসলামের সঙ্গে বিদ্বেষ পোষণ করে, এবং ইসলামের সর্বসম্মত কোন বিশ্বাস বা বিধানকে কটাক্ষ করে অথবা আল্লাহ ও রাসূলের অবমাননা করে তার জন্য জানাযা পড়া কোন মুসলমানের জন্য বৈধ নয়। কোরআনুল কারীমে এ বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাদা জৈনক ইসলাম বিদ্বেষীর জানাজা পড়ে ফেলেছিলেন। তখন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কঠোর সতর্কবাণী এসেছিলেন এবং এরশাদ হয়েছে যে আর তাদের মধ্যে যে মারা গিয়েছে তুমি তার জানাযা পড়বে না এবং তার কবরের উপর দাঁড়াবে না।

নিশ্চয়ই তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করেছে এবং তারা ফ্যাসিক অবস্থায় মারা গেছে। আর তোমাদের যেন মুগ্ধ না করে তাদের ধনসম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর দ্বারা শুধু তাদের দুনিয়ার জীবন আজাব দিতে চাই এবং কাফের অবস্থায় তাদের জান বের হয়ে যাবে। (সুরা তাওবা, আয়াত ৮৪,৮৫)।

শরীয়তের বিধান মোতাবেক যাদের জানাযা পড়া যাবে এবং যাদের জানাজা পড়া যাবে না তা হলো একজন মানুষ যখন মুসলিম প্রমাণিত হবে তার ইন্তেকালের পর মুসলমানদের ওপর তার জানাজা ও দাফন কাফন ফরজে কেফায়া, তাই সে যত বড়ই পাপকর্মশীল হোক না কেন। অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছেন তোমরা নেককার ও বদকার সব মুসলিমের ওই জানাজা পড়ো।

আরো পড়ুনঃ আল্লাহর ৯৯ নামের ফজিলত ও আমল 

কিন্তু এদিকে শরীয়ত এখানে একটি রীতি নির্ধারণ করেছে তা হচ্ছে যে সব মুসলিম নরনারী প্রকাশ্যে বড় গুনাহ তথা ব্যভিচার খুনখারাবি চুরি ডাকাতি ইত্যাদিতে লিপ্ত থাকে তওবা ছাড়া মারা যাবে তাদের জানাজা পড়তে হবে। তবে সমাজের গণ্যমান্য নেককার ব্যক্তিরা ও নেতৃত্ব স্থানীয় আলেমরা তাদের জানাজার শরিক হওয়া থেকে বিরত থাকবে।

তবে এর কারণ এই নয় যে মৃত পাপীকে ঘৃণা করা হচ্ছে। বরং এর কারণ হলো যাতে জীবিত পাপিষ্ঠদের পাপকর্মের দুঃসাহসিকতা বেড়ে না গিয়ে কমে যায় এবং ভবিষ্যতের জন্য অন্য পাপীরা যেন এটা ভেবে সাবধান হয়ে পাপাচার থেকে ফিরে আসে যে আমি মারা গেলেও তো নেককার ব্যক্তিরা আমার জানাজা পড়বে না। অন্য একটি হাদিস শরীফে এসেছে যে জৈনক ব্যক্তি আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই জানাযার নামাজ পড়েননি বরং অন্য সাধারণ মানুষরা তার জানাযার নামাজ পড়ে কবর দিয়ে দেয়। এই জন্য আমাদের সবার উচিত আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকা। আর তাই রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম জানাজায় শরিক না হওয়ার কারণ হলো আত্মহত্যার গুনাহের প্রতি মুসলমানদের সতর্ক করা। এবার আমরা জানাজার নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব

জানাজার নামাজ পড়ার নিয়ম

জানাজার নামাজ তাকবীরের সঙ্গে আদায় করতে হয়। তবে জানাজার নামাজের তাকবীর দেওয়ার সময় হাত তোলার কোন প্রয়োজন পড়ে না। এদিকে জানাজার নামাজ দাঁড়ানো অবস্থায় পড়তে হয় স্বাভাবিক নামাজের মত জানাযার নামাজে কোন রুকু সিজদাহ নেই। জানা যায় লোক সংখ্যা বেশি হওয়া মুস্তাহাব এবং মুসল্লির সংখ্যা যত বাড়বে ততই ভালো। জানাযার নামাজ মূলত মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া ও ইস্তেগফার প্রথমত মৃত ব্যক্তিকে কেবলার দিকে সম্মুখে রেখে ইমাম ও মুসল্লিদের দাঁড়ানো হয়। এরপরে মুসল্লীরা নামাজের অযুর ন্যায় ওযু করে ইমামের পিছনে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াবে ইমাম মৃত ব্যক্তির বক্ষ/ সিনা বরাবর দাঁড়াবে। এরপর প্রথম নিয়ত করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ফিতরা কি - সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা কি ওয়াজিব ২০২৩

আরবিতে নিয়ত না পারলে বাংলায় নিয়ত করতে হবে। কিন্তু মুখে নিয়ত করা জরুরি নয় বরং এটি মুস্তাহাব। নিয়তে তাকবীরে তাহরিমা অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলে কান পর্যন্ত হাত তুলে তারপর অন্যান্য নামাজের মতই হাত বেঁধে নিতে হবে হাত বেঁধে সানা পড়তে হবে। ছানা পড়ার পরে দ্বিতীয় তাকবীর বলবে তারপর দরুদে ইব্রাহিম পড়তে হবে।

দরুদে ইব্রাহিম এর পরে তৃতীয় তাকবীরে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করতে হবে। এরপর চতুর্থ তাকবীর দিতে হবে এবং সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে। উপরোক্ত দোয়া যদি কারো জানা না থাকে তাহলে সংক্ষিপ্ত দোয়া পড়তে হবে। তা হলঃ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাগফিরলিল মু’মিনিনা ওয়াল মু’মিনাত।

বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মুমিন নারী-পুরুষ উভয়কে ক্ষমা করে দিন

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যখন তোমরা জানাজা পড়বে তখন তার জন্য আন্তরিকতার সাথে দোয়া করো। উল্লেখ্য যে, জানাযায় অংশগ্রহণ করলে রয়েছে অনেক সওয়াব। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি মৃত্যের জন্য সালাদ আদায় করা পর্যন্ত জানাজায় উপস্থিত থাকবে তার জন্য একটি কিরাত আর যে ব্যক্তি মৃত্যের দাফন হয়ে যাওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে তার জন্য দুই কিরাত। জিজ্ঞেস করা হলো ২ কেরাত কি? তখন তিনি বললেন দুই কিরাত হলো দুটি বিশাল পর্বত সমতুল্য।

আর তাই দোয়া না জানলেও জানাজা ও দাফনের শরিক হওয়া উত্তম। জানাজার এই বিশাল সওয়াব লাভে জানাযার দোয়া গুলো শিখে নেওয়া অবশ্যই জরুরী। তাহলে প্রিয় পাঠক আজকে সমস্ত ওয়েবসাইট জুড়ে জানাজার নামাজ জানাজার নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে সকল তথ্য দিয়ে সাহায্য করলাম। এতক্ষণ আমাদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউ বাংলা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url